জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে খুলনা বিভাগের দশটি জেলার মধ্যে পরপর তিনবার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মাগুরা। ২৬ জুলাই মঙ্গলবার খুলনা সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় মাসিক সমন্বয় সভায় মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ এর হাতে এই সাফল্যের জন্য সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো: হেলাল মাহমুদ শরীফ।উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, উপজেলা ভিত্তিক জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায় যে, গত তিনমাসে মাগুরা জেলার সবকয়টি উপজেলা (৪ টি) খুলনা বিভাগের সব উপজেলাগুলোর (৫৯ টি) মধ্যে শীর্ষ চারে অবস্থান করছে এবং সূত্রমতে মাগুরা জেলা বর্তমানে বাংলাদেশে শীর্ষে অবস্থান করছে।
এমন ঈর্ষণীয় সাফল্যের কারণ হিসেবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ বলেন যে, আমার যোগদানের পর থেকেই দাপ্তরিক রুটিন কাজের পাশাপাশি মাগুরা জেলার উন্নয়নে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা শুরু করি। এর মধ্যে একটি হলো জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা। এরই প্রেক্ষিতে আমি বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করি যার ফলস্বরূপ আজকে মাগুরা জেলা খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে পরপর তিনবার শীর্ষস্থান দখল করেছে।
তিনি আরও বলেন যে, জেলা প্রশাসক হিসেবে মাগুরার এই অর্জনে আমি আনন্দিত। কিন্তু এই অর্জন আমার একার নয়। এর পেছনে অনেকেরই রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম। তিনি এ জেলার সকল স্তরের জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখাসহ সকল শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, উপজেলা প্রশাসন, মাগুরা পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ সচিববৃন্দ, গ্রাম পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং সর্বোপরি মাগুরা জেলার জনসাধারণকে এই অর্জনের কৃতিত্ব দেন।
জেলা প্রশাসক আরও উল্লেখ করেন যে, এমন সাফল্যে আত্মতৃপ্তিতে ভোগার কোন সুযোগ নাই। তিনি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহবান জানান যাতে করে আগামী দিনগুলোতেও মাগুরা জেলার এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকে।
পরিশেষে, তিনি পরম করুণাময় মহান আল্লাহ এর নিকট শুকরিয়া এবং অব্যবহিত পূর্বের খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও বর্তমান বিভাগীয় কমিশনার মো: হেলাল মাহমুদ শরীফ।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ, ডিএলজি এবং খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের সকল সদস্যবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং বলেন এ ধরনের স্বীকৃতি আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম আরও সুন্দর ও সুচারুরুপে সম্পাদন করার ক্ষেত্রে কর্ম উদ্দীপনা যোগাবে।
Leave a Reply