মাগুরার পেশাদার চোর পাপ্পু ও তার সহযোগী (স্বর্নকার) হারাধনকে গ্রেফতার করেছে মাগুরা জেলা পুলিশ । উদ্ধার করা হয়েছে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চোরাইস্বর্ণ ও মালামাল।মাগুরা সদর থানার মামলা নং-৪৩, তারিখ- ২৬/০৬/২০২৩ ইং, ধারা-৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড ১৮৬০ এর এজাহারের বর্ননা অনুযায়ী গত ইং-২৪/০৬/২০২৩ খ্রিঃ সকাল অনুমান ১১:০০ ঘটিকার সময় বাদী মো: ওয়াসিম আকরাম@ লাল ও তার স্ত্রী মোছাঃ নারগিস খাতুন বাদীর বসত বাড়ীর ঘর তালাবন্ধ করে মাগুরা শহরে ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে যায়। পরবর্তীতে দুপুর অনুমান ০১:৩০ ঘটিকার সময় বাদী ও তার স্ত্রী মাগুরা শহর হতে বাসার নিকটে আসিলে দেখিতে পান অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন ব্যক্তি বাদীর বাসার প্রাচীর টপকিয়ে বাহির হচ্ছে। বাদী উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেরকে দেখে ধরার জন্য ধাওয়া করলে চোরেরা পালিয়ে যায়। তখন বাদী তার রুমের জানালার গ্রীল ভাঙ্গা দেখিতে পাইয়া ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে দেখেন যে, ঘরের সকল জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে এবং রুমে থাকা ওয়ারড্রোপ এর তালা ভাঙ্গা যাহার মধ্যে থাকা স্বর্ণের বালা ০১ জোড়া ওজন অনুমান ১৫ আনা ০২ রতি, ০১ টি স্বর্ণের লকেট ও বাচ্চাদের ০২ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ওজন অনুমান ০৪ আনা, সর্বমোট ওজন ০১ ভরি ০৩ আনা চার্জ ২ রতি স্বর্নের মূল্য অনুমান ১,১৪,০০০/- (এক লক্ষ চোদ্দ হাজার) টাকা এবং নগদ ৬৫,০০০/- (পয়ষট্টি হাজার) টাকা নাই। অতপর বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশের সাথে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণে আসামী মোঃ ইমরান শেখ @ পাপ্পু কে সনাক্ত করা হয় এবং ইং-২৬/০৬/২৩ তারিখ দুপুর বেলায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মাগুরা থানা পুলিশ উক্ত পাপ্পু চোরকে গ্রেফতার করে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করে তার স্বীকারোক্তি মতে মাগুরা পুরাতন বাজার স্বর্ণপট্টি বিশ্বাস জুয়েলার্স এ অভিযান করে স্বর্নকার হারাধন বিশ্বাস কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত চোরাইকৃত স্বর্নালংকার এর মধ্যে হতে ০১ টি স্বর্ণের বালা ওজন ০৭ আনা ০৪ রতি বাহির করিয়া দিলে বাদী তা চিনতে পারে। অবশিষ্ট স্বর্নালংকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে আসামী হারাধন বিশ্বাস জানায় যে অবশিষ্ট চোরাই স্বর্নালংকার স্বর্ণের বালা ০১ টি ওজন অনুমান ০৭ আনা ০৪ রতি, ০১ টি স্বর্ণের লকেট ও বাচ্চাদের ০২ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ওজন অনুমান ০৪ আনা, সর্বমোট ওজন ১১ আনা ০৪ রতি মাগুরা পুরাতন বাজার স্বর্ন পট্টির আর এক ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রয় করিয়া দিয়েছে। আসামী হারাধন বিশ্বাস এর স্বীকারোক্তি মতে রাতুল ষ্টোর এ্যান্ড জুয়েলারী ওয়ার্কশপ থেকে গলানো অবস্থায় ০৭ আনা পাকা সোনার ছোট ছোট টুকরা জব্দ করা হয়। উক্ত পাপ্পু চোর ও সহযোগী স্বর্নকার হারাধন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে চুরির দায় স্বীকার করেছে। আসামী পাপ্পু একজন অভ্যাসগত চোর, এর নামে ইতিপূর্বে ১৬ টি চুরির মামলা সহ একাধিক জিডি রয়েছে। আসামিদেরকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply