SP তথা সুপারিনটেনটেন্ট অব পুলিশ তরুন, সুদর্শন পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী জেলা মাগুরার কৃতি সন্তান। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে মাগুরা সদর থানার বেরোইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। পিতা মরহুম সরাফত হোসেন। বেরোইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার হাতে খড়ি। ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে বেরোইল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি। এম.এম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ১৯৯৫ তে এইচএসসি ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স, মাষ্টার্স সম্পন্ন করেন মর্যাদার সাথে। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে বিসিএস এ উত্তীর্ণ হন এবং ডিএমপিতে যোগদান করেন ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে। বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানিত সদস্য হিসাবে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে সিআইডি’র সাইবার ক্রাইম শাখায় জামালপুর সার্কেলে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
জাতিসংঘ মিশনের অধিনে ২০১০ থেকে ২০১১ এর মে পর্যন্ত ১বছর ৭দিন দায়িত্ব পালন করে দেশে ফিরে আসেন। প্রথম পুলিশ সুপার হিসেবে নারায়নগঞ্জ শিল্পাঞ্চল পুলিশের শাখায় দায়িত্ব পারল করেন ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে। তার আগে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে সর্বপ্রথম এসপি হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে ডিএমপি হেড কোয়াটারে দায়িত্ব পালন করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ প্রধান হিসাবে যোগদান করেন ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৯ই সেপ্টেম্বর। সীমান্তঘেষা জেলা হিসাবে চুয়াডাঙ্গায় মাদকের বিস্তার ঘটে ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে। চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেই জাহিদুল ইসলাম মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান অত্যান্ত আন্তরিকতার সাথে। দক্ষতা ও মেধা দিয়ে সম্পূর্ন ব্যক্তিগত কৌশলে মাদকমুক্ত জীবন, মাদকমুক্ত পরিবার ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সংকল্প বদ্ধ হয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবক ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তরুণ, উদ্যমী এসপি জাহিদুল ইসলাম অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামের মাধ্যমে মোটিভেশনের আহবান জানান। পরিশেষে সুন্দর সিরামিক মগ,টিশার্ট প্রদান করেন। এরপরেও যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ব্যর্থ হয় তাদেরকে আইনের আওতায় নিতে বাধ্য হন।
সুযোগ্য পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা জেলায় মাদকের সাথে জড়িত ৫জন পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন, ১১জন পুলিশ সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সমগ্র জেলায় টহল পুলিশ সহ ১৫৩টি দলে বিভক্ত করে মাদক, সন্ত্রাস, ডাকাতি, অরাজগতা নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছেন দক্ষতার সাথে। তুলনামূলকভাবে এসপি জাহিদুল ইসলাম আসার পরে চুয়াডাঙ্গার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আতংকে আছে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবিরা। তিনি বলেন, শুধু আইন আর পুলিশ দিয়ে মাদকমুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে প্রতিটি পরিবার সহ সচেতন ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসতে হবে।
Leave a Reply