মাগুরা সদর উপজেলার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাজিয়ারা গ্রামে লিমা খাতুন নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে । লিমা সদরের বারাসিয়া গ্রামের মনিরুজ্জামান এর মেয়ে। এ ঘটনায় লিমার সাবেক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ই জুন ২৩) সকাল সাতটার দিকে ডিভোর্স দেওয়া স্বামী শাকিল আহমেদের বাড়ির পাশে একটি গাছে হাটু মোড়ানো ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবারিক সূত্রে যানা যায়, নিহত লিমা খাতুন তার স্বামী পুলিশ কনস্টেবল তপন লস্কার এর সাথে থাকা অবস্থায় শাকিল আহমেদের সাথে প্রক্রিয়া জড়িয়ে পড়েন । দীর্ঘদিন পরকীয়া করার পর এক পর্যায়ে স্বামী তপন লস্কর কে ডিভোর্স দিয়ে শাকিল আহমেদ কে বিয়ে করেন লিমা খাতুন । কিন্তু শাকিল আহমেদের সাথে বেশিদিন সংসার করা হয়নি লিমার ।গত ফেব্রুয়ারি মাসে শাকিল আহমদকে ডিভোর্স দিয়ে আবার প্রথম স্বামী তপন লস্করের কাছে ফিরে জান লিমা। এরপরেও যোগাযোগ বন্ধ হয়নি শাকিল-লিমার ।১০-১২ দিন আগে বর্তমান স্বামী পুলিশ কনস্টেবল মোঃ তপন লস্করের বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বারাসিয়াতে আসেন লিমা ।গত ০৯ জুন শুক্রবার ডিভোর্স দেওয়া সাবেক স্বামী শাকিল আহমেদের বাড়িতে গিয়ে ওঠে লিমা। ঐ রাতেই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয় এবং লিমাকে মারধর করে শাকিল আহমেদ ও বাড়ির লোকজন। লিমা তার মাকে মোবাইল ফোন এই ঘটনা জানালে তার মা পুলিশকে খবর দিয়ে লিমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন ।
এরমধ্যেই বুধবার শাকিল এক নারী কে বিয়ে করে বাড়িতে আসেন। এই খবর জানতে পেরে বৃহস্পতিবারে শাকিল আহমেদের বাড়িতে আসে লিমা।
এরই এক পর্যায়ে শুক্রবার সকালে লিমার রহস্য জনক ঝুলন্ত মরদেহ দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ঝুলন্ত মরাদেহ উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে আসে। উল্লেখ্য নিহত লিমা খাতুন এর আট বছরের একটি ছেলে সন্তান ও আড়াই বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।এ ঘটনায় শাকিল আহমেদকে আটক করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে নিহত লিমার মা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় শাকিল ও শাকিল এর পরিবারের লোকজন সোনা দানা গনাগাটি টাকা পয়সার হাতিয়ে নিয়ে তাঁকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। আমি হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে সদর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে লিমা খাতুনের ঝুলন্ত মরদে উদ্ধার করি। লাশ ময়না তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। মাগুরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।
Leave a Reply